কক্সবাজারের রামুতে বিনোদন স্পটগুলোতে সব বয়সের মানুষের ভীড় গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে। ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজার শহরে ভ্রমণে পরিবার পরিজন নিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক ভ্রমণপিপাসু রামু বিভিন্ন বিনোদন স্পটেও ভীড় করছে। ক’দিন ধরে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্পট রাজারকুল বোটানিক্যাল গার্ডেন, রাবার বাগান রেস্ট হাউজ নারিকেল বাগান, পুরাকীর্তি সমূহের বিনোদন স্পট এবং রামুর দরিয়া নগর, হিমছড়ি পিকনিক স্পটে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আনন্দ সপরিবারে উপভোগ করতে যেন মেতে উঠেছে।
এমনকি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও শিশু-কিশোর ও কিশোরীদের নিয়ে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ইনানী পাথুরে বিচ, রামুর দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ পুরাকীর্তি এলাকা, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রাখাইন পল্লী, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, হিমছড়ির অপরূপ ঝর্ণা, দরিয়ানগরসহ বিভিন্ন পর্যটন পয়েন্টে এসেছেন বাবা-মা। ব্যস্ততম নগরজীবনের যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি পেয়ে ঈদের ছুটিকে কাজে লাগাতে একটু খোলামেলা জায়গায় বেড়ানোর মধ্যে অন্যরকম এক অনুভূতি খুঁজে পাচ্ছেন তারা।
এদিকে বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন রামু সেনা নিবাস, রামু ৫০ ব্যাটালিয়নের ক্যাট্রিনসহ পুরো ক্যাম্পজুড়ে জাঁকজমকপূর্ণ আকর্ষণ ঈদ আনন্দের মাত্রাকে আরও কয়েক গুন বাড়িয়ে দেয়। এসব স্থানে বর্তমানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের পদভারে মুখরিত বিনোদন স্পটগুলো। আর দর্শকদের মন জয় করতে এসব বিনোদন স্পটগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে। এখানে বর্নিল আনন্দে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ছিল বেশি। পরিবার-পরিজন নিয়েও সব বিনোদন স্পটে আসেন অনেকেই। ঈদের প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন এবং তৃতীয় দিনেও রামুর এসব বিনোদন স্পটগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছেন।
রামু বোটানিক্যাল গার্ডেনের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ঈদের লম্বা ছুটিতে স্থানীয়দের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় এখানে লেগে রয়েছে।
এদিকে রামুতে হিমছড়ি ঝর্ণা ও জাতীয় উদ্যান, দেশের সর্ববৃহৎ রাবার বাগান, আইসোলেটেড নারিকেল বাগান, সীমা বিহার, উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার, লামার পাড়া বৌদ্ধ বিহার, প্যাগোড়া চাতোপা জাদীসহ নানা দর্শনীয় স্থানে ভ্রমন পিপাসুদের ভীড় দেখা গেছে।
পাঠকের মতামত: